আহলে হাদীসের বিকৃত সম্বোধন থেকে ফিরে আসুন।
লিখেছেন লিখেছেন Saidul Karim ০৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:৪৭:৩৩ রাত
দুয়েকটি কথা বলি। আপনি/আপনারা ইসলামের মৌলিক পরিভাষা এবং ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় উৎস 'হাদীস' কে বিকৃত করে 'খবিছ' বলেছেন! অস্বীকার করবেন না।হীলা খাটাবেন না। আপনার/আপনাদের কমনসেন্স কোথায়? একজন ব্যক্তি সম্পর্কে বিষাদগার করতে গিয়ে 'হাদীস' শব্দকে বিকৃত করে 'খবিছ' বলতে আপনাকে অনুমতি কোন ইমাম দিয়েছে!
'হে মুমিনগণ! তোমরা 'রায়িনা' বল না
--'উনযুরনা' বল" [সুরা বাক্বারাহ,আয়াত-১০৩]
মক্কার কাফিররা রাসুল (স কে দেখলে বলত 'রায়িনা' যার এক অর্থ-See/দেখা আরেক অর্থ 'Cow Boy/রাখাল'। কাফির/মুনাফিক সম্প্রদায় রাসূল (স কে অপমান করতে অন্তরে 'রাখাল' শব্দ গোপন করে রাসূল (স কে 'রায়িনা' বলে সম্বোধন করত। তাই দৈত অর্থবোধক শব্দ তথা যাতে নেগেটিভ অর্থ রয়েছে এমন শব্দও মুমিনদের জন্য ব্যবহার আল্লাহ নিষিদ্ধ করে বলেছেন- 'মানুষদের সাথে সুন্দর কথা বলবে' [সুরা বাক্বারাহ,আয়াত-৮৩]
অর্থাৎ,সুন্দর আচরণ করবে,সুন্দর কথা বলবে,সুন্দর নামে ডাকবে।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেন- "হে মুমিনগণ! কেউ যেন আপর কাউকে উপহাস না করে।কেননা,সে উপহাসকারী থেকে উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর কাউকে যেন উপহাস না করে কেননা সেও উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তাম হতে পারে।তোমরা কেউ একে অপরকে দোষারোপ করো না এবং #একে_অপরকে_মন্দ_নামে_ডেকো_না। কেননা, #ঈমান_আনার_পর_মন্দ_নামে_ডাকা_গুনাহ।[সুরা হুজরাত,আয়াত-১১]
অথচ আপনারা ইসলাম/ইমান/আমলের একমাত্র ডিলার হয়ে সমাকালীন ইসলামিক স্কলারদের নামকে বিকৃত করছেন এভাবে- আহলে হাদীসকে আহলে খবিছ বলে; ডা: জাকির নায়েককে জুকার নালায়েক বলে; বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ কে আল-বানর বলে!
[আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দাও]
অনেকে ডা:জাকির নায়েকের টাই সম্পর্কে বলতে গিয়ে টাইকে ট্রাই বলেন! অথচ ফতওয়া দিতে এক লাইন আগে। টাই-য়ের কথা কুরান-হাদীসে নেই তাই ধরে নিলাম এটি পড়া ভাল নয়।আচ্ছা,আপনি যে লুঙ্গি পড়েন তাও তো কুরান-হাদীসে নেই আপনি পড়েন কেন?
ডা:জাকির নায়েক,নাসির উদ্দীন আলবানী কোথায় বলেছেন? ইমামাদের অনুসরণ হারাম! কিংবা ইমাম আবু হানীফা,ইবনে হাম্বল,শাফেয়ী ও মালেকের গবেষণা/ইজতিহাদ গ্রহণযোগ্য নয়! বরং ডা:জাকির নায়েক তাঁর রচিত 'ইসলাম সম্পর্কে ৪০টি প্রশ্ন ও তার জবাব' বইয়ে 'ইমাদের সম্মান' শিরোনামে আলাদা সূচী দিয়ে ইমামদের শ্রদ্ধা করতে বলেছেন। তিনি বলেছেন-- "আমাদের ইসলামের ইমামদের সম্মান করা উচিত।যাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা,ইমাম আবু ইউসুফ,ইমাম শাফেয়ী,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এবং ইমাম মালেক এবং অন্যান্য ইমামগণ তারা সকলেই বড় বড় আলেম এবং ফকীহ ছিলেন।আল্লাহ তাদেরকে তাদের পরিশ্রমের প্রতিদান দিন।যদি কোনো ব্যক্তি ইমাম আবু হানীফা অথবা ইমাম শাফেয়ীর মতাদর্শ এবং তাদের গবেষণার সাথে একমত থাকে তাহলে এর ওপর অভিযোগ থাকা উচিত নয়।"
[ইসলাম সম্পর্কে ৪০টি প্রশ্ন ও তার জবাব,পৃষ্ঠা-১০৭,ফার্স্ট ইডিশন-ফেব্রুয়ারী-২০১৩]
সহীহ হাদীস এবং ইসলামের অথেনটিক সোর্স কুরানের গ্রহণযোগ্যা ব্যাখ্যা মানতে এবং জানতে চাই তাহলে কেন পারবে না? কুরান যেমন বিশ্বজনীন অনাগতকালের জন্য প্রযোজ্য তেমনি এর ব্যাখ্যাও কোনো একটি কালের জন্য সীমাবদ্ধ নয়। যদি হাদীসে একটি বিষয় সম্পর্কে একাধিক নিয়ম/বিধি বর্ণনা থাকতে পারে তাহলে প্রত্যেক ব্যাক্তির অধিকার আছে তা থেকে যেকোনো একটি নিয়ম/বিধি পালন করার। স্বয়ং রাসূল (স যখন একটি বিষয়ে একাধিক বিধান পালন করে দেখিয়েছেন সেখানে আপনি কে সকল মুসলিমকে একটি বিষয়ে একটি বিধানে বন্ধি করার!
http://www.facebook.com/H.SaidulKarim
বিষয়: বিবিধ
৬৫১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দায়িত্ব তো পালন করতে পারি।যদিও এ সমাজে তা কেউ মানবে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন